![]() |
2013 Attack on Bangladesh |
২০১৩ সালের কোন এক সময় হযরত মুহাম্মদ সাঃ কে নিয়ে কটুক্তি করে শাহবাগীরা,
বলে রাখা ভালো শাহবাগ হচ্ছে ঢাকা শহরের একটি অঞ্চলের নাম এবং এখানে যারা বসবাস করে তাদেরকে শাহবাগী বলা হয় এবং এই শাহবাগীরা মনে করে তারা বাংলাদেশের জনসাধারণের তুলনায় অনেক বেশি বুদ্ধিমান, তো হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে কে নিয়ে কটুক্তি করার কয়েকদিন পরে বাংলাদেশে ইসলামিক সমাজ এটা নিয়ে একটা প্রটেস্ট করে সে প্রটেস্ট টি ছিল 13 দফা দাবি আদায়ের উদ্দেশ্যে
এবং এই ১৩ টি দাবির মধ্যে উল্লেখিত একটি দাবি ছিল এমন যে যারাই হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে নিয়ে কটুক্তি করেছেন তাদেরকে ফাঁসি দিতে হবে, এই দাবি নিয়ে পুরো বাংলাদেশের যত মুসলিম ক্যাডার রয়েছেন সবাই রাস্তায় নেমে পড়েন এবং এই ১৩ টি দাবীকে বাস্তবায়ন করার চেষ্টা করেন, কিন্তু যখন শাহবাগীরা দেখতে পারেন যে মুসলমানরা তাদের বিরুদ্ধে ১৩ দফা দাবি নিয়ে আন্দোলন করছে তখন তারা ভিন্ন একটি গেম খেলেন, শাহবাগীরা (উল্লেখিত আওয়ামী লীগের অঙ্গসংগঠন ছাত্রলীগ) টুপি পাঞ্জাবি পড়ে ইসলামিক ক্যাডার সেজে এসে রাস্তাঘাটে অনেক ভাঙচুর করে অনেক জায়গায় আগুন লাগিয়ে দেয় যাতে করে দেশের সাধারণ জনগণ বুঝতে পারে যে ইসলামিক ক্যাডাররা দেশের সম্পদ ভাঙচুর করছেন এবং আমাদের জীবনকে ঝুঁকিপূর্ণ করে তুলছেন,
কিন্তু এই ভায়োলেন্স গুলো কিন্তু ইসলামিক ক্যাডাররা করেননি বাংলাদেশের সরকারের নির্দেশনা অনুযায়ী ছাত্রলীগ এই ভাইরাসগুলো তৈরি করেছে,
এখন এই ভায়োলেন্স তৈরি করার পিছনেও একটা রাজনৈতিক গেম আছে সেটা হল-
বাংলাদেশে পাওয়ারফুল তিনটি রাজনৈতিক দল আছে
⦁ আওয়ামী লীগ – Awami lig (Running president)
⦁ বিএনপি – BNP ( Bangladesh National Party )
⦁ হেফাজতে ইসলাম – Hefazat e islam
এই তিনটি পার্টির মধ্যে সবচাইতে জনপ্রিয় এবং মানুষের বিশ্বাসযোগ্য পার্টি ছিল হেফাজতে ইসলাম কারণ তখন সবাই ইসলামের উপর অনেক বেশি বিশ্বাস করতো যার জন্য প্রত্যেকের মনের মধ্যে হেফাজতে ইসলাম’র জন্য একটি সফট কর্নার ছিল, এখন বাংলাদেশ রানিং প্রেসিডেন্ট আওয়ামী লীগের সবচাইতে বড় ভয় ছিল এই হেফাজতে ইসলাম কারণ আওয়ামীলীগকে যদি কেউ সরকার থেকে নামিয়ে দিতে পারে তাহলে সেটা শুধুই হেফাজতে ইসলাম কারণ হেফাজতে ইসলামের কাছে অনেক বেশি লোকবল ছিল, এখন যেহেতু সাধারণ জনগণ হেফাজতে ইসলাম অনেক বেশি পছন্দ করে এর জন্য সাধারণ লোকজনের সামনে হেফাজতে ইসলামের একটি খারাপ ইমেজ তৈরি করার জন্য আওয়ামীলীগ ছাত্রলীগের সাহায্য নিয়ে এরকম ভায়োলেন্স তৈরি করে ২০১৩ সালে কিন্তু এই ভায়োলেন্স গুলো কিন্তু ইসলামিক ক্যাডাররা করেননি বাংলাদেশের সরকারের নির্দেশনা অনুযায়ী ছাত্রলীগ এই ভায়োলেন্স তৈরি করেছে,
(এটা হচ্ছে আওয়ামী লীগের একটি পুরনো প্রথা অপজিশনকে জনগণের সামনে একটি টেরোরিস্ট অর্গানাইজেশন বলে পরিচয় করিয়ে দেয়ার)
এবং নিউজ মাধ্যমগুলো তখন আওয়ামী লীগকে সাপোর্ট করে হেফাজতে ইসলামের উপর ফেক নিউজ তৈরি করে নিউজগুলো কিছুটা এরকম ছিল হেফাজতে ইসলাম হচ্ছে রাজাকারের দল, হেফাজতে ইসলাম একটি টেরোরিস্ট অর্গানাইজেশন, কারণ তারা সাধারণ মানুষের জীবনকে বিপন্ন করে তুলছে এবং রাষ্ট্রীয় সম্পদ ধ্বংস করছে, এর জন্য হেফাজতে ইসলাম লিডার কাদের মোল্লার ফাঁসির দাবিতে তখন শাহবাগীরা বিপরীতমুখী আন্দোলন শুরু করে,
এর মধ্যে অনেকদিন ধরেই দুই দলের প্রোটেস্ট চলতেই থাকে
সরকারকে হেফাজতে ইসলামের পক্ষ থেকে একটি আল্টিমেটাম দেয়া হয় ‘’ ৩০শে এপ্রিলের মধ্যে যদি ১৩ দফা দাবি মেনে নেয়া না হয় তাহলে ৫ই মে ঢাকার মধ্যে বাংলাদেশের সবচাইতে বড় অবরোধ গড়ে তুলবেন হেফাজতে ইসলাম’’
এপ্রিল মাস জুড়ে পুরো বাংলাদেশের ৬৪ টি জেলায় হেফাজতে ইসলামের আন্ডারে অনেক বড় বড় প্রোটেস্ট হতে থাকে
এবং সবাই প্রস্তুতি নিতে থাকে পাঁচই মে'র ঢাকা অবরোধের জন্য
কিন্তু এপ্রিল মাস শেষ হবার পরও সরকার যখন তাদের দাবি মেনে নেয় না তখন সবাই পূর্বের কথা মোতাবেক ৫ মে দেশের সর্বত্র জনগণ মিলে ঢাকায় প্রবেশের ছয়টি মুখে অবরোধ করে এবং পুরো ঢাকাকে ব্লক করে দেয়
পুরো ঢাকায় তাদের আন্দোলন চলতে থাকে দুপুর পর্যন্ত দুপুরের পরে রহস্যময় ভাবে হেফাজতে ইসলামের কয়েকজন লিডারের কাছ থেকে আদেশ আসে পুরো সমাবেশকে নিয়ে মতিঝিলের শাপলা চত্বরে অবরোধ করার
তখন অবরোধে অংশগ্রহণ করা প্রায় তিন লক্ষেরও বেশি ইসলামিক স্কলার্স শাপলা চত্বরের দিকে যাওয়া শুরু করে
এবং তারা যখন শাপলা চত্বরে গিয়ে পৌঁছায় এবং সেখানে বিক্ষোভ মিছিল শুরু করে , এর পর হঠাৎ রাত ২,৩০ মিনিটে বাংলাদেশী সেনাবাহিনীর সহ বাংলাদেশি পুলিশ এবং আর্ম ফোর্স সাথে ছাত্রলীগ এবং যুবলীগ লাঠি দা কুরাল বন্দুক হাতে নিয়ে ইসলামিক স্কলারদের উপর মানে হেফাজতে ইসলামের উপর মর্মান্তিক আক্রমণ করে বসে চারিদিক দিয়ে তাদেরকে ঘিরে ফেলে এবং একাধারে তাদেরকে খুন করতে থাকে
আসলে এখানে যারা হেফাজতে ইসলামের লিডার ছিলেন যারা কিনা আদেশ দিয়েছিলেন সবাইকে শাপলা চত্বর আসার জন্য তারা আসলে ছিলেন বেইমান তারা হেফাজতে ইসলামের সাথে বেইমানি করে সমস্ত ইসলামিক স্কলারদের কে একত্রে করে শাপলা চত্বরে নিয়ে আসে যেটা ছিল বাংলাদেশ সরকারের আগে থেকে করা একটা ট্র্যাপ
এবং ৫ই মে শাপলা চত্বরে যে ইসলামিক স্কলারদের কে গণহত্যা করা হবে এটা বাংলাদেশ সরকারের অনেক আগে থেকেই প্ল্যান ছিল যখন কিনা হেফাজতে ইসলাম প্রথম প্রোটেস্ট শুরু করেছিলেন ঠিক তখন থেকেই, এবং তারপরে বাংলাদেশ সরকার বাংলাদেশী সেনাবাহিনী এবং পুলিশ সহ বাংলাদেশি সকল আর্থ ফোর্সদের সাথে মিলে ইসলামিক স্কলারদের কে হত্যা করার জন্য একটি মিশন পরিকল্পনা করেন যার নাম দেয়া হয় Operation flash out
পুলিশ বাহিনীর পক্ষ থেকে এই অপারেশনের নাম দেয়া হয় অপারেশন secured Shapla
আর বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের ( BGB ) পক্ষ থেকে এ অপারেশনের নাম দেয়া হয় অপারেশন ক্যাপচার শাপলা
এবং রাষ্ট্রীয় বাহিনীর পাশাপাশি এ হামলায় অংশগ্রহণ করেন ছাত্রলীগ যুবলীগ এবং আওয়ামী লীগ সরকারের যত গুন্ডাবাহিনী আছে সবাই
কিন্তু এখানে অনেক বড় একটা পয়েন্ট রয়েছে ইসলামিক স্কলারদের খুন করার জন্য বাংলাদেশের রাষ্ট্রীয় বাহিনীর পাশাপাশি অনেকগুলো ভারতীয় এজেন্টকে নিয়ে আসা হয় এবং এ বিষয়ে বর্তমানে বাংলাদেশের সবাই জানে কারণ ২০১৩ সালে যখন এই গণহত্যাটা হয়েছিল তখন প্রকাশ্যে মানুষ পুলিশের পোশাক পরিহিত ব্যক্তিদের কাছ থেকে হিন্দিতে অনেক কথা শুনেছেন তারা হিন্দিতে ধমকি দিচ্ছেন এবং ধরে নিয়ে যাচ্ছেন, এবং সেখানকার লোক যেন এটা নিশ্চিত করেছেন যে আমরা অনেক এমন মানুষ দেখেছি যারা হিন্দিতে কথা বলছিল এবং অনেকগুলো নিউজ মাধ্যমে পরবর্তীতে এ বিষয়ে কথা বলে কিন্তু তার কিছুদিন পরেই সেই নিউজগুলো কেউ ডিলিট করে দেয়া হয়,
সে রাতে ইন্ডিয়ান প্রফেশনাল কিলার এবং বাংলাদেশের রাষ্ট্রীয় বাহিনী ছাত্রলীগ এবং যুবলীগের হাতে খুন হয়ে যান বাংলাদেশের অনেকগুলো ইসলামিক স্কলার্স কতগুলো খুন হয়েছে কেউ জানে না তারা দূর থেকে গুলি করতো পায়ে এবং তারপর তাদেরকে গাড়িতে উঠিয়ে নিয়ে কোথায় নিয়ে যেত সেটা কেউ আজ পর্যন্ত জানতে পারেনি, তাদেরকে মেরে মেরে গুম করে তাদের লাশগুলো বস্তায় ভরে নদীতে ফেলে দিয়ে আসতো, এবং একসাথে 50 60 জনকে হত্যা করে গণকবর দেয়া হয়েছিল, এবং বলা যেতে পারে বাংলাদেশে ইসলামিক স্কলার্সদের মধ্যে অলমোস্ট 20% ইসলামিক স্কলারস ঐদিন রাতে শহীদ হন,
সেদিন রাতের চিৎকার আজও বাঙালির হৃদয়ে গেঁথে আছে , এই হত্যাযজ্ঞ চলতে থাকে সারারাত, কিন্তু ভোরের আলো ফোটার আগেই ফায়ার সার্ভিসের গাড়ি নিয়ে এসে পানি দিয়ে সমস্ত রক্তকে মুছে ফেলা হয় এবং যতগুলো ডেড বডি ছিল সবকটাকে গুম করে ফেলা হয় তার সঙ্গে কোন প্রমাণ রাখা হয় না যাতে করে সাধারণ মানুষ বুঝতে না পারে যে গতকাল রাতে এখানে গণহত্যা হয়েছে এবং যাতে কোন নিউজ মিডিয়া এ খবরগুলোকে কাভার করতে না পারে এবং ইউনাইটেড নেশন এর মত কোন অর্গানাইজেশন যাতে এ বিষয়ে কোন প্রশ্ন তুলতে না পারে এই জন্য তারা সমস্ত প্রমাণগুলোকে নিষ্ক্রিয় করে দেয়
কিন্তু বাংলাদেশ সরকার এরপরেও থেমে থাকেনি ৬ মে সকালে ছাত্রলীগের কিছু গুন্ডাদেরকে পাঞ্জাবি-টুপি পড়িয়ে বায়তুল মোকাররম যেটি কিনা বাংলাদেশের জাতীয় মসজিদ তার মধ্যে ঢুকিয়ে দেয় এবং তারা পাঞ্জাবি-টুপি পড়ে গিয়ে সেখানে অনেকগুলো কোরআন শরীফে আগুন লাগিয়ে দেয় যাতে করে সাধারণ জনগণ হেফাজতে ইসলামের উপর আরো ক্ষিপ্ত হয়ে যায়
এবং এরপর ৬ মে সারাদিন এবং রাত তারা ছাত্রলীগদের সাধারণ জনগণের মত সাজিয়ে আবারো গণহত্যা চালায় হেফাজতে ইসলামী কর্মীদের উপর তখন এমন একটা অবস্থা হয়ে দাঁড়িয়েছিল কাউকে যদি টুপি পাঞ্জাবি পর অবস্থায় দেখা যেত রাস্তায় তাহলেই তাকে মেরে ফেলা হতো, কিন্তু পরিস্থিতি ঠান্ডা হয় তখন যখন দেশের সাধারণ জনতারা বুঝতে পারে এই সবই হচ্ছে আওয়ামী লীগ সরকারের প্ল্যান ছিল, তখন নিউজ মিডিয়া গুলো সব ধীরে ধীরে প্রকাশ করতে থাকে, তারপরে সাধারণ জনগণ যখন সবকিছু জেনে যায় তারপরে সবাই হেফাজতে ইসলামকে ভুল বোঝা বন্ধ করে এবং বুঝতে পারে যে আওয়ামী লীগ সরকার তাদের সাথে কত বড় একটা ধোঁকাধারী করেছে,
এবং এরপর থেকেই বাংলাদেশ সরকারের প্রতি ঘৃণা জন্মায় বাংলাদেশের সাধারণ নাগরিকদের মনে এবং সেই ঘৃণা থেকেই ধীরে ধীরে ধীরে ধীরে সেটা তৈরি হয় ২০১৮ সালের প্রোটেস্ট এবং ২০২৪ সালের প্রোটেস্টে