বাংলাদেশের চুয়াডাঙ্গা যেন প্রকৃতির এক অগ্নিকুণ্ডে পরিণত হয়েছে। গ্রীষ্মের এই তাপপ্রবাহ শহরবাসীকে পুড়িয়ে দিচ্ছে। ৪২.২ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রায় জনজীবন একেবারে বিপর্যস্ত। শহরের রাস্তাঘাট ফাঁকা, মানুষজন ঘর থেকে বেরোতে পারছে না। তাপপ্রবাহের কারণে হিটস্ট্রোকের ঝুঁকি বেড়েছে, বিশেষ করে শিশু ও বয়স্করা সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিতে রয়েছে। হাসপাতালগুলোতে জায়গা নেই, রোগীদের ভিড়ে জরুরি সেবাও ব্যাহত হচ্ছে।
এদিকে, চাষাবাদও মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। দীর্ঘদিনের তাপপ্রবাহের কারণে চাষিদের জমির ফসল পুড়ে গেছে। কৃষকদের কষ্ট যেন আরও বাড়ছে, কারণ তারা এই খরার কারণে প্রচুর অর্থনৈতিক ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছেন। অনেক চাষি তাদের ফসল নষ্ট হয়ে যাওয়ার কারণে ঋণের বোঝায় পড়ে গেছে। বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব এ ধরনের তাপপ্রবাহকে দীর্ঘায়িত করছে, এবং ভবিষ্যতে এই ধরনের চরম আবহাওয়া পরিস্থিতি আরও বাড়তে পারে।
সরকার থেকে এই তাপপ্রবাহ মোকাবিলায় বিশেষ সতর্কতা জারি করা হয়েছে। বিভিন্ন এলাকায় পানি সরবরাহ বৃদ্ধি করা হয়েছে এবং মানুষকে সতর্ক করে দেয়া হয়েছে বাইরে বের না হওয়ার জন্য। তবে তাপপ্রবাহের তীব্রতা কমতে কতদিন সময় লাগবে, তা এখনও অনিশ্চিত।