খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (কুয়েট) এক শান্ত শিক্ষাঙ্গন থেকে অগ্নিঝরা বিক্ষোভের কেন্দ্রবিন্দুতে রূপ নেয়। ছাত্রদের দাবি—বাস ভাড়া নিয়ে অসন্তোষ—প্রথমে সামান্য মনে হলেও, দ্রুত তা এক সহিংস প্রতিবাদের রূপ নেয়। ছাত্ররা নিজেদের অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য যখন রাস্তায় নামে, তখন বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন প্রথমে তাদের দাবি আমলে নেয়নি। এই অবহেলার ফলেই ছাত্ররা আরও বিক্ষুব্ধ হয়ে ওঠে।
বিক্ষোভের তীব্রতা এমন পর্যায়ে পৌঁছায় যে, প্রশাসন ক্যাম্পাস অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করতে বাধ্য হয়। ছাত্রদের হল ছেড়ে যাওয়ার নির্দেশ দেয়া হয়, আর ক্যাম্পাসে পুলিশ মোতায়েন করা হয়। কেউ ভাবেনি যে বাস ভাড়া নিয়ে শুরু হওয়া এ বিক্ষোভ এত দূর গড়াবে। কিন্তু দেশের প্রেক্ষাপটে এই ধরনের ঘটনা নতুন নয়। প্রশাসনের সঙ্গে ছাত্রদের সম্পর্ক দীর্ঘদিন ধরেই একটি নাজুক অবস্থায় রয়েছে। সরকার ও প্রশাসনের ওপর ছাত্রদের অসন্তোষ দিন দিন বাড়ছে। কুয়েটের এই বিক্ষোভ যেন বাংলাদেশের শিক্ষাঙ্গনে বর্তমান অবস্থা এবং ছাত্রদের অধিকার আদায়ের সংগ্রামের প্রতিফলন।
এই ঘটনার পরও সাধারণ শিক্ষার্থীদের মধ্যে এক ধরনের অস্থিরতা বিরাজ করছে। অনেকেই মনে করছেন, শিক্ষাঙ্গনে যে কোনো সময় আবারও এমন বিক্ষোভ হতে পারে। কারণ, দেশের শিক্ষাব্যবস্থা ও প্রশাসনিক ব্যর্থতার কারণে ছাত্রদের অসন্তোষ দিন দিন বাড়ছে। বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, ছাত্রদের সঙ্গে সরকারের আরও সংলাপের প্রয়োজন। না হলে এমন সহিংস পরিস্থিতি বারবার ফিরে আসবে।